অবশেষে গতকাল ৩০শে আগস্ট পাকিস্তান-নেপাল ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে এশিয়া কাপের ১৬তম আসর। হাইব্রিড মডেলে ছয় দলের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের মিশন শুরু হচ্ছে আজ।
বৃহস্পতিবার ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে সাকিব আল হাসানের দল। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায়।
এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত তিনবার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ, তবে শিরোপার স্বাদ পায়নি টিম বাংলাদেশ। তবে এবার শিরোপার বন্ধ্যাত্ব ঘোচানোর মিশনে জয় দিয়ে আসর শুরু করতে উদগ্রীব লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
যদিও এশিয়া কাপের আগ মুহূর্তে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে লিটন দাস ছিটকে পড়ায় কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ দল। তারকা এই ওপেনারের ছিটকে যাওয়ায় নতুন করে ডাক পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়।
তবে পরিস্থিতি যাই হোক তা মেনে নিয়েই এগোতে চান টাইগার কাপ্তান সাকিব আল হাসান। প্রথম ম্যাচে নামার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন নিজেদের আত্মবিশ্বাসের কথা।
সাকিব বলছিলেন, ‘আসলে আমি একটা বিভাগের ওপর নির্ভর করে জিততে চাই না। আমার কাছে মনে হয় আমরা যদি প্রতিটি বিভাগেই ভালো খেলি সেটা পেস বোলিং আক্রমণ হতে পারে, স্পিনার, ব্যাটার, ফিল্ডার হতে পারে।’
‘এই চারটা জায়গাতে যদি আমরা ভালো খেলি তাহলে আমাদের ভালোভাবে জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এবং আমরা ওটাই করার চেষ্টা করব, অলরাউন্ড ক্রিকেট খেলতে চাই। এমনটা না যে শুধু পেস বোলাররা আমাদের জিতিয়ে দেবে কিংবা শুধু ব্যাটাররা জিতিয়ে দেবে এটা না। আমরা চাই সবদিক থেকে ওদের চেয়ে ভালো খেলে জিতব।’-যোগ করেন সাকিব।
এদিকে, ইনজুরির কারনে এশিয়া কাপে খেলতে পারছেন না শ্রীলঙ্কান তারকা লেগ-স্পিন অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এ ছাড়া ইনজুরির কারণে দলের মূল পেস ইউনিটকেও পাচ্ছে না টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক দেশটি।
বাংলাদেশকেও সমীহ করছেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। বাংলাদেশকে ভালো দল অ্যাখা দিয়ে শানাকা বলছেন, ‘আমরা জানি, ভারত ও পাকিস্তান কতটা দাপুটে। আমরা জানি, আমরা ভালো দল। বাংলাদেশও ভালো দল।’
এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত ১৫ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এরমধ্যে শ্রীলঙ্কার ১২টিতে জয়ের বিপরীতে ৩ ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। কিন্তু এশিয়া কাপে দুই দলের শেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ।
এ ছাড়া ওয়ানডে ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ৫১ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এরমধ্যে লঙ্কানদের জয় ৪০টিতে এবং বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৯ ম্যাচে। বাকী দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়