বিশ্বকাপের রেসে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচে জয় ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভারতের বিপক্ষে সামান্যতম লড়াইও করতে পারলো না বাংলাদেশ। শঙ্কাকে সত্যি করে এদিন একাদশে ছিলেন না টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার পরিবর্তে নেতৃত্ব দেন সহ-অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শান্ত। ভালো শুরুর পরও মিডল-অর্ডারের ব্যর্থতায় ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে মাত্র ২৫৬ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। জবাবে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ৮ ওভার হাতে রেখেই জয় পায় ভারত।
২৫৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকে ভারতের দুই ওপেনার। ১৩তম ওভারে দলীয় ৮৮ রানে হাসান মাহমুদের বলে আউট হন রোহিত (৪৮)।
আর ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেই মিরাজের শিকার হন গিল (৫৩)। তবে তিনে নেমে ৬ চার আর ৪ ছয়ে ৯৭ বলে ১০৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ভিরাট কোহলি। তার সঙ্গে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন লোকেশ রাহুল।
সবমিলিয়ে ম্যাচের ৪২তম ওভারেই ৭ উইকেট হাতে রেখে সহজেই জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত।
টাইগারদের হয়ে মিরাজ দুটি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা স্বপ্নের মতো করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৯৩ রান। কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে তামিম করেন ৪৩ বলে ৫১। লিটনের ব্যাটে আসে ৬৬ রান। ৯৩ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ ১৩৭ রানে হারায় ৪ উইকেট। শান্ত, মিরাজ, হৃদয়রা এদিনও ব্যর্থ হন। তবে শেষের দিকে দুই অভিজ্ঞ মুশফিক ও রিয়াদের ব্যাটে লড়াইয়ের মতো পুঁজি পায় টাইগাররা। মুশফিকুর রহিম করেন ৩৮ রান। রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান তোলে বাংলাদেশ। যদিও সেই রান যথেষ্ট ছিল না।
ভারতের হয়ে বুমরাহ, সিরাজ ও জাদেজা দুটি করে উইকেট লাভ করেন।
এই জয়ে নিউজিল্যান্ডের পর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জিতলো ভারত।