রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার রোমাঞ্চকর ম্যাচ। ইতিহাদে ম্যানচেস্টার সিটি-টটেনহামের সেই ম্যাচে জেতেনি কেউ। তবে ৩-৩ গোলের রোমাঞ্চ শেষে জয়ের অনুভূতি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে টটেনহাম।
ম্যাচের ৯০তম মিনিটটা সিটি শুরু করেছিল ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে। টানা দুই ড্রয়ের পর সিটিজেনরা যখন প্রিমিয়ার লিগে জয়ের ফেরার স্বপ্ন দেখছে তখনই দেয়ান কুলুসেফস্কির গোল। সিটির মাঠে টানা তৃতীয় লিগ ম্যাচে গোল করে সিটিকে এবারের লিগে ড্রয়ের হ্যাটট্রিক উপহার দিলেন সুইডিশ মিডফিল্ডার।
এরপর যোগ করা সময়ের ওই কাণ্ড। একটি পাল্টা আক্রমণ থেকে মাঝবৃত্তে বল যায় আর্লিং হলান্ডের পায়ে। হলান্ড ফাউলের শিকার হলেও উঠে দাঁড়িয়ে সতীর্থ গ্রিলিশকে পাস দিতে পেরেছিলেন। টটেনহামের রক্ষণের অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে গ্রিলিশ যখন এগোচ্ছেন, তখনই রেফারির ফাউলের বাঁশি। সিটির যে ‘অ্যাডভান্টেজ’ প্রাপ্য, সেটি যেন ভুলেই গিয়েছিলেন রেফারি। ‘আপনি কেন খেলা চালিয়ে গেলেন না’—রেফারির উদ্দেশ্যে এই চিৎকার করে শুধু হলুদ কার্ডই দেখেছেন নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার।
হলুদ কার্ড দেখা হলান্ড রোববারের ম্যাচটিতে কোনো গোল পাননি। তবে ৮১ মিনিটে তাঁর পাস থেকেই সিটিকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দিয়েছিলেন গ্রিলিশ। ম্যাচে সেটি ছিল সিটির দ্বিতীয়বার এগিয়ে যাওয়া।
৬ গোলের রোমাঞ্চের ম্যাচে প্রথম গোলটি দিয়েছিল টটেনহাম। ৬ মিনিটে সফরকারীরা এগিয়ে যায় হিয়ুং-মিন সনের গোলে। তিন মিনিট পরেই সেই সন বল পাঠান ভুল পোস্টে। আর তাতেই ম্যাচে ১-১ সমতা। ৩১ মিনিটে ফিল ফোডেনের গোলে এগিয়ে যাওয়া সিটি প্রথমার্ধ শেষ করে ২-১ ব্যবধানে। তুমুল উত্তেজনা ম্যাচে টটেনহাম সমতা ফেরায় ৬৯ মিনিটে, এবার গোলদাতা জিওভান্নি লো সেলসো। এই গোলের শেষ পাসটা দিয়েছেন সন। এরপর শেষের সেই নাটক।
লিভারপুলের জয়ের রাতে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে চেলসিও। ম্যাচের বেশির ভাগ সময় দশজন নিয়ে খেলেও এন্জো ফার্নান্দেজের জোড়া গোলে ব্রাইটনের বিপক্ষে ৩–২ ব্যবধানে জিতেছে মরিসিও পচেত্তিনোর দল।