আফগানিস্তানের কাছে ইংল্যান্ডের হারের পর এবার নেদারল্যান্ডসের কাছে ৩৮ রানে হারলো বিশ্বকাপে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে সর্বমোট ২৩ টি ম্যাচ খেলা নেদারল্যান্ডস এই প্রথম কোনো পূর্ণ শক্তির দলকে হারালো। বৃষ্টির কারণে এদিন ম্যাচ নেমে আসে ৪৩ ওভারে। যেখানে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৪৫ রান করে ডাচরা। জবাবে ২০৭ রানে অলআউট হয় আফ্রিকা।
ডাচদের দেওয়া মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৬ রান। একরম্যানের বলে ডি কক (২০) আউট হলে ভাঙে প্রোটিয়াদদের ওপেনিং জোট। এরপর ৮ রানের মধ্যে আরো ৩ উইকেট হারায় আফ্রিকা। ৩৬ রানে এক থেকে ৪৪ রানে ৪ উইকেট দাঁড়ায় প্রোটিয়াদের স্কোরবোর্ড। এরপর হেনরি ক্লেসেন ও ডেভিড মিলারের ৪৫ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে আফ্রিকা। ক্লেসেন(২৮) কে আউট করে এই জুটি ভাঙেন ভান বিক। দলীয় ১৪৫ রানে মিলার আউট হওয়ার পর আরো বিপদে পড়ে প্রোট্রিয়ারা। একপর্যায়ে ১৬৬ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তবে শেষ উইকেট জুটিতে লুঙ্গি এনগিদিকে সাথে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়লে কিছুটা আশা দেখতে শুরু করে আফ্রিকার সমর্থকরা। তবে ২০৭ রানে ভ্যান বিকের বলে মহারাজ আউট হলে ৩৮ রানের জয় পায় নেদারল্যান্ডস। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকে।
ডাচদের পক্ষে ভ্যান বিক সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারানোর পর ১১২ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে নেদারল্যান্ডস। ১৪০ রানে সপ্তম উইকেট হারায় ডাচরা। এরপর শুরু হয় শেষের দিকের ব্যাটারদের নিয়ে অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের লড়াই। অষ্টম উইকেটে ভ্যান ডার মারউইকে নিয়ে গড়েন ৬৪ রানের লড়াকু জুটি। ২০৪ রানের মাথায় ১৯ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ফেরন মারউই। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ওই ৮ উইকেট হারিয়েই ২৪৫ রান তোলে নেদারল্যান্ডস। ৬৯ বলে এডওয়ার্ডস তার ৭৮ রানের ইনিংস সাজান ১০ চার ও ১ ছক্কায়। ৯ বলে ৩ ছক্কায় ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন দশে নামা ব্যাটার আরিয়ান দুত্তা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে রাবাদা,জেনসেন ও এনগিদি দুটি করে উইকেট লাভ করেন।