ক্যারিয়ার জুড়ে নিন্দুকরা নানা ভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার চেষ্টা করেছেন রোনালদোকে।
অনেক রোনালদো নাম বিদ্রুুপ করে পেনালদো বলেও ডাকেন।
কিন্তুু তাতে দমানো যায়নি সি,আর সেভেন কে!
বরং ইস্পাত মনোবলে অদম্য, অত্মবিশ্বাসে এগিয়ে গিয়েছেন রন।।
খারাপ সময়ে পিছন ফেলে, ঘুরে দাড়িয়ে বাক বদলের গল্প লেখতেন বারবার।।
কিন্তুু এইবার কি সত্যি ভেঙে পড়েছেন রোনালদো, ইস্পাত মনোবলে গড়া আত্মবিশ্বাসে কি এবার চিড় ধরেছে একটু আকটু?
একটা তথ্য এই প্রশ্ন টা কে বেশ জরালো করে তুলেছে।।
অন্তর্জাতিক ফুটবলের মেজর টুর্নামেন্টে সবশেষ নিজের খেলা ১০ ম্যাচে, পেনাল্টি ছাড়া কোন গোল করতে পারেননি পূর্তগীজ মহাতারকা।।
২০২১ ইউরো তে, জার্মানি আর হ্যাঙ্গেরি ম্যাচের পর থেকে নিজের খেলা অন্তর্জাতিক মেজর টুর্নামেন্টে কোন ম্যাচে পেনাল্টি ছাড়া গোল নাই রোনালদোর।।
২০২১ ইউরোর গ্রুুপ পর্বে ফরাসি দের দুর্গ যে দুই বার ভেদ করেছিলেন তার দুটি পেনাল্টির কল্যাণে!!
এরপর কাতার বিশ্বকাপেও রোনালদোর আক্ষেপের গল্প টা বদলায়নি বরং সেটি হয়ে উঠেছে রোনালদোর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ড্রিপশনের ষ্টোরি।।
বিশ্বকাপ চলার মাঝপথে, একাদশে নিজের যায়গা, হারিয়ে ছিলেন।।
মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচ হারার পর কাঁদতে কাঁদতে টার্নেল ধরে বের হয়ে এসেছিলেন,
ফুটবল ভক্তদের সেই হৃদয় বিদারক দৃশ্য তো এখনো স্মৃতিতে সজিব।।
পুরো টুর্নামেন্ট ৫ ম্যাচ খেলে রোনালদো নামের পাশে যোগ করেছিলেন মাএ ১ টি গোল সেটিও গ্রুুপ ষ্টেজে, ঘানার বিপক্ষে পেনাল্টির কল্যাণে।।
এরপর চলামান ইউরোতে ইতিমধ্যে চার ম্যাচ খেলে এখনো গোল বন্ধ্যাত্ব ঘুচাতে পারেনি সাবেক মাদ্রিদ সুপার-ষ্টার।।
ক্যারিয়ারে এই প্রথম বার ৬ ইউরো খেলে, গ্রুুপ ষ্টেজে গোল করতে ব্যার্থ হলেন এই মহাতারকা।
উল্টো রাউন্ড আব ষোল তে, স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পেনাল্টি মিস করে দল কে মহা-বিপদে ফেলিয়েছেন রোনালদো।
সেটা নিয়ে তো আর নতুন করে বলবার কিছু নেই।
টানা সৌদি প্রো লীগের যা তা গোল-কিপারের সামনে স্পট কিক থেকে একের পর এক লক্ষ্য ভেদ করা, পূর্তগীজ নাম্বার সেভেন, বিশ্বমানের গোল-কিপার ওবালকের সামনে করিয়েছিলেন অসহায় অত্মসর্মপণ।।
এরপর কান্না ভেঙে পড়ে, ফুটবল সর্মথকদের আবেগ জিতেছেন ঠিক, কিন্তুু তাই বলে তো, রোনালদোর গৌধুলি লগ্নে ফুরিয়ে যাওয়ার চিত্র টা আড়াল হতে পারে না।।
সবমিলিয়ে পূর্তগালের জার্সি তে, মেজর টুর্নামেন্টে টানা ১০ ম্যাচে পেনাল্টি ছাড়া গোল শূন্য রোনালদো।
কোন কিছু তেই রোনালদো নিজেকে সরুপে খুঁজে পাচ্ছেন না জাতীয় দলের জার্সি তে বড় বড় টুর্নামেন্টে।
এবার একটা প্রশ্ন মনের গহীনে উঁকি দেয়; সবশেষে কাতার বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ ট্রফি জয় কে পেনাল্টির মানদণ্ডে মেপে, যারা মেসির বিশ্বকাপ ট্রফি জয় কে প্রশ্ন বিদ্ধ করেছেন, অথবা ২০১৮ বিশ্বকাপের পর এলএম টেন যখন ভাগ্যর ফেরে টানা তিন বছর জাতীয় দলের জার্সি তে, পেনাল্টি ছাড়া ওপেন প্লে গোল করতে পারেননি, সেজন্য আর্জেন্টাইন কাপ্তান কে নিয়ে মেতেছেন হাসি তামাশা তে তারা এখন সি,আর, সেভেনের অন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পেনাল্টি বিলাসের সময় কেনো নিষ্চুপ?
তবে কি, রোনালদোর যখন পেনাল্টি থেকে নিশানা ভেদ করেন তখন পেনাল্টি থেকে গোল করা হয়ে যায়, পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন আর মেসির বেলায় হিসেব হয় উল্টো?
সেসব বোদ্ধদের এই কেমন বৈষম্য?
সদ্য সমাপ্ত সিজনে সৌদি প্রো লীগে ৩৯ বছর বয়সী রোনালদো ছিলেন গোল্ডেন বুট বিজয়েতা।
কিন্তুু সেখানেও আছে গোড়ায় গলদ পেনাল্টি রেখেছিলো বড় ভূমিকা।
এমন কি অন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোল দাতা রন সেখানে আছে পেনাল্টির সু-বাতাস।।