একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল পাকিস্তান ম্যাচটা জিততেই যাচ্ছে। তবে কেশব মহারাজের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত হারতে হারতে এক উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল প্রোটিয়ারা।
পাকিস্তানের দেয়া ২৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী জুটিতে প্রোটিয়ারা ৩ ওভারেই ৩৪ রান সংগ্রহ করে ফেলেন। এরপরই ফর্মে থাকা ডি কককে বাউন্ডারী লাইনে মোহাম্মদ ওয়াসিমের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান শাহিন শাহ আফ্রিদি। বিদায়ের আগে ১৪ বলে ২৪ রান করেন তিনি।
এরপর অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও রাশি ভ্যান ডার ডুসেনের ব্যাটে আবারও এগোতে থাকে প্রোটিয়ারা। বাভুমা ২৮, ভ্যান ডার ডুসেনে ২১ ও ফর্মে থাকা হেনরিক ক্লাসেন ১২ রান করে ফিরলেও ম্যাচে কখনোই মনে হয়নি প্রোটিয়ারা হারতে পারে। পুরো ম্যাচকে একপেশে বানিয়ে ফেলেন এইডেন মার্করাম।
ডেভিড মিলার ও মার্কো জানসেনকে নিয়ে দলকে সহজ জয়ের পথেই তিনি। কিন্তু মিলার ২৯ ও জানসেন ২০ করে ফেরার পর সপ্তম ব্যাটার হিসেবে বিদায় নেন মার্করাম। বিদায়ের আগে ৯৩ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার বিদায়ের পর ম্যাচ জমিয়ে তোলে পাক বোলাররা।
দলীয় ২৫০ রানে ৭ উইকেট থেকে ২৬০ রানে ৯ উইকেটে গিয়ে দাঁড়ায়। এরপর শেষ মুহূর্তে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ৪ রান আর পাকিস্তানের ১ উইকেট। ঠিক সেই পর্যায়ে মোহাম্মদ নওয়াজকে বাউন্ডারি মেরে দেন কেশব মহারাজ। তাতে বাবরদের কাঁদিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে নেয় টুর্নামেন্টে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বরাবরের মতোই উদ্বোধনী জুটি পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে ব্যর্থ দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক। প্রথম পাওয়ার প্লেতেই দলীয় ৩৮ রানের মধ্যেই বিদায় নেন তারা। পাকিস্তানের বিপদের মধ্যে তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়েন বাবর-রিজওয়ান।
দলীয় ৮৬ রানে রিজওয়ানকে উইকেটের পেছনে ডি ককের ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন কোয়েটজি। চতুর্থ উইকেটে ইফতিখারকে নিয়ে বাবর ৪৩ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১২৯ রানে তাবরাইজ শামসির বলে ক্লাসের দুর্দান্ত ক্যাচে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইফতিখার।
১২ রান পর দলীয় ১৪১ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক বাবর আজম। তার আগে বাবর ৬৫ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৫০ রানের ইনিংস উপহার দেন। শেষ দিকে সৌদ শাকিল ও শাদাব খানের ৭১ বলে ৮৪ রানের জুটিতে আড়াইশো পেরোয় পাকিস্তানের ইনিংস।
শাদাব ৪৩ রান করে ফিরলেও সৌদ শাকিল ঠিকই ফিফটি তুলে নেন। তবে ৫২ রান করেই বিদায় নেন তিনি। এতে ৪৬ দশমিক ৪ ওভারেই ২৭০ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তাবরাইজ শামসি সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে একাই ধস নামান। এ ছাড়া পেসার মার্কো জানসেন তিনটি ও জেরাল্ড কোয়েটজে দুটি উইকেট লাভ করেন।