শেষ ওভারের নাটকীয়তায় পাকিস্তানকে বিদায় করে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। আগামী রবিবার তাদের প্রতিপক্ষ ভারত।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে কার্টেল ওভারের কারণে নেমে আসে ৪২ ওভারে। আগে ব্যাট করে পাকিস্তান শফিক ও রিজওয়ানের হাফসেঞ্চুরিতে ২৫২ রান সংগ্রহ করে। জবাবে শ্রীলঙ্কা কুশল মেন্ডিসের অর্ধশত, আসালাঙ্কার অপরাজিত ৪৯ ও সামারাবিক্রমার ৪৮ রানে ভর করে ২ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয়।
পাকিস্তানের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২০ রানে কুশল পেরেরাকে হারায় লঙ্কানরা। দ্বিতীয় উইকেটে পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস করেন ৫৭ রান। দলীয় ৭৭ রানে নিশাঙ্কা ২৯ রান করে শাদাব খানের হাতে উইকেট দিয়ে আসেন। পরে তৃতীয় উইকেটে মেন্ডিস ও সামারাবিক্রমা শতরানের জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের পথে রাখেন। দলীয় ১৭৭ রানে সামারাবিক্রমা ৪৮ রান করে ইফতিখারের বলে আউট হন।
দলীয় ২১০ রানে সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকতে ইফতিখারের বলে মোহাম্মদ হারিসের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন। তার আগে অবশ্য ৮৭ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ৮১ রানের ইনিংস উপহার দেন।
দলীয় ২২২ রানে অধিনায়ক শানাকা আউট হলে অনেকটা অনিশ্চয়তায় পড়ে যায় লঙ্কানদের জয়। দলীয় ২৪৩ রানে পর পর দু’বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও দিমুথ করুণারত্নেকে বিদায় করে লঙ্কান শিবিরে ভয় লাগিয়ে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল ৯ রান। জামান খানের করা ওভারের প্রথম বলে লেগ বাই থেকে এক রান সংগ্রহ করেন প্রমোদ মাধুশান। দ্বিতীয় বল থেকে ডট আদায় করে নেন জামান খান। তৃতীয় বলে এক রান নেন আসালাঙ্কা। চতুর্থ বলে জামানের শিকারে পরিণত হন প্রমোদ মাধুশান। এতে করে শেষ দুই বলে লঙ্কানদের প্রয়োজন পড়ে ৬ রান। পঞ্চম বলে আসালাঙ্কা ৪ রান করে সমীকরণ দাঁড় করান ১ বলে ২ রানে। শেষ বলে বাউন্ডারি লাইনে বল পাঠিয়ে দৌড়ে ২ রান সংগ্রহ করেন। পাকিস্তানের হয়ে ইফতেখার ৩টি, শাহিন শাহ আফ্রিদি ২টি, জামান খান ও শাদাব একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফখর জামানের উইকেট হারায় পাকিস্তান।দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাবর আজম ও আব্দুল্লাহ শফিক মিলে গড়েন ৬৪ রানের জুটি।ব্যক্তিগত ২৯ রানে আউট হন বাবর।আর অর্ধশতক পূর্ণ করেই সাজঘরে ফেরেন আব্দুল্লাহ শফিক ৫২(৬৯)। এদিন প্রথমবারের মতো এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের একাদশে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ হ্যারিস,মোহাম্মদ নওয়াজরা ব্যাট হতে হয়েছেন ব্যর্থ।১৩০ রানে ৫ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে এরপর পথ দেখান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতেখার আহমেদ।দুজনের ঝড়ো ১০৮ রানের জুটিতে ভর করে ৪২ ওভারে ৭ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৫২ রান। ৪০ বলে ৪৭ রান করে আউট হন ইফতেখার। ৬ চার ও ২ ছয়ে ৭৩ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে মাথিশা পাথিরানা সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট লাভ করেন