এবার নেদারল্যান্ডসের কাছেও বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটারদের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৮৭ রানে হারলো টাইগাররা
মাঝারি মানের ২৩০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ধুকতে থাকে বাংলাদেশ। দলীয় ১৯ রানে লিটন দাস সাজঘরে ফেরেন। ১২ বল খেলে করেন মোটে ৩ রান। ওই ১৯ রানেই আউট হন ১৫ রান করা তানজিদ। এরপর মিরাজ ও শান্ত বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে শান্ত ব্যর্থ হন এদিনও। দলীয় ৪৫ রানের মাথায় আউট হন তিনি। ১৮ বল খেলে করেন ৯ রান। এরপরই হুড়মুড়িয়ে ধ্বসে পড়ে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন-আপ। ৬৩ থেকে ৭০, এই ৭ রানের ব্যবধানে আউট হন সাকিব(৫), মিরাজ (৩৫), মুশফিক (১)। ৭০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ ও শেখ মাহেদী। তবে সেই জুটিও বেশিক্ষণ টিকেনি। দলীয় ১০৮ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়েন মাহেদী (১৭)। রিয়াদের ব্যাটে আসে ২০ রান। শেষের দিকে তাসকিন-মুস্তাফিজের ২৯ রানের জুটি পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে শুধু। শেষ পর্যন্ত ১৪২ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। আর তাতেই নেদারল্যান্ডসের কাছে ৮৭ রানের লজ্জার পরাজয় বরণ করে টাইগাররা।
ডাচদের হয়ে ভ্যান-মেকরেন সর্বোচ্চ চারটি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ডাচ অধিনায়ক। নেদারল্যান্ডসের দুই ওপেনারকে শুরুতেই ফিরিয়ে দেন তাসকিন ও শরিফুল। ৪ রানে ২ উইকেট হারায় ডাচরা। শুরুর সেই বিপর্যয় সামাল দেয় বারেসি ও অ্যাকারম্যান। দুজনে বাঁধেন ৫৯ রানের জোট। ব্যক্তিগত ৪১ রানে বারেসিকে ফেরায় মোস্তাফিজ। ১৫ রান করে সাকিবের শিকার হয় অ্যাকারম্যান। ৬৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে পুনরায় বিপর্যয়ে পরে নেদারল্যান্ডস। তবে এবার হাল ধরেন অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। উইকেটের একপাশ আগলে রেখে তিনি করেন ৬৮ রান। তাকে সঙ্গ দেন এঙ্গেলব্রেচট (৩৫)। আর শেষের দিকে ভ্যান বিকের ১৬ বলে ২৩ রানের ছোট্ট ঝড়ো ইনিংসে ৫০ ওভারে ২২৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় নেদারল্যান্ডস।