প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাও লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ১৪১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে শেষমেশ হেরেছে ৯ উইকেটের ব্যবধানে।
ডানেডিনে আজ দিনের শুরু থেকেই ছিল বৃষ্টি। যে কারণে খেলা বন্ধ ছিল প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময়। সেজন্যে ম্যাচের দৈর্ঘ্যও কমে গিয়েছিল অনেকটা। শুরুতে ধরা হয়েছিল ২৮ ওভার করে খেলবে দুই দল, পরে আরও এক ওভার কমানো হয় দৈর্ঘ্য, ম্যাচ নেমে আসে ২৭ ওভারে। টসে হারে বাংলাদেশ। একটু আগেই বৃষ্টি হয়েছে, আকাশও মেঘলা, কন্ডিশনের ফায়দা তুলতে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক সোফি ডিভাইন। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা নিগার সুলতানার দল অবশ্য শুরুটা দারুণই করেছিল। ওপেনার শারমিন সুলতানা ও ফারজানা হকের উদ্বোধনী জুটি থেকেই আসে ৫৯ রান। পেসে স্বচ্ছন্দ বাংলাদেশের রানের গতিতে লাগাম টানেন নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা। নিউজিল্যান্ড দলে দ্বিতীয় ম্যাচের একমাত্র পরিবর্তন ফ্র্যান্সেস ম্যাকাইয়ের দ্বিতীয় বলেই ফেরেন শামিমা। এরপর অ্যামি স্যাটারথওয়েটের শিকার বনে যান নিগার ও রুমানা আহমেদ। এরপরই নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ফিরে আসে। ম্যাকাই আর স্যাটারথওয়েটের ১১ ওভার থেকে বাংলাদেশ নিতে পেরেছে মোটে ৪৯ রান, হারিয়েছে ৪টি মূল্যবান উইকেট। তবে ফারজানা একপাশ আগলে রেখেছিলেন। সোবহানা মুস্তারিকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেই জুটি ৭ ওভার টিকলেও রান আসেনি, কারণ শেষ দিকে বলের গতির হেরফের করে নিউজিল্যান্ড পেসাররা বেশ বিপাকে ফেলছিলেন দুই ব্যাটারকে। ইনিংসের ২২তম ওভারে ফেরেন সোবহানা। এতক্ষণ অনেকটা একাই লড়ে যাওয়া ফারজানা ফেরেন এক ওভার বাদেই। শেষ দিকে সালমা খাতুন, লতা মণ্ডলদের লড়াইয়ে বাংলাদেশ পায় ১৪০ রানের লড়াকু সংগ্রহ।জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের ওরপর চড়াও হন সুজি বেটস। ব্যক্তিগত ১৪ রানে সালমা খাতুনের বলে ওপেনার সোফির বিদায়ের পর থেকে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন সুজি। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন এমেলিয়া কারকে। সুজি ৬৮ বলে ৭৯, আর এমেলিয়ার করেন ৩৭ বলে ৪৭ রান। তাতেই নিউজিল্যান্ড ১ উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।