একসময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন নাসির হোসেন।তবে সময়ের বিবর্তনে এখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন এ অলরাউন্ডার। বিপিএল, ডিপিএলের মতো ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললেও জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়া তার জন্য এখন অনেক দূরের পথ।
পারিবারিক জটিলতায় তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে এবার উঠলো দুর্নীতির অভিযোগ।
নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। টি-টেন লিগে খেলার সময়কার একটি ঘটনার জের ধরে এই অভিযোগ এনেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
টি-টেন লিগের খেলার সময় এক ব্যক্তির কাছ থেকে উপহার সামগ্রী নিয়েছিলেন নাসির। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) মনে করছে সেই ব্যক্তিটির ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাসির যেহেতু সেই ব্যক্তির নিকট থেকে উপহার নিয়েছে সে কারণে নাসির দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমনটাই ধারণা ইসিবির। সে কারণেই বিষয়টি তারা আইসিসির কাছে জানিয়েছিল।
তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাসিরকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করেছে আইসিসি।
আইসিসি এক বার্তায় জানায়, ইসিবির অভিযোগের ভিত্তিতে আইসিসি খেলোয়াড় ও অফিসিয়াল মিলিয়ে মোট আটজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসিরের বিরুদ্ধে তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।
দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থ মূল্যের উপহার নেওয়ার বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়ে নাসির ভঙ্গ করেছেন আইসিসির দুর্নীতি বিরোধীর ২.৪.৩ ধারা।
এছাড়া তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে দুর্নীতি বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কোন প্রস্তাব তিনি পেয়েছিলেন কিনা, তাকে কোনভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কিনা তা পরিষ্কার করে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ২.৪.৩ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।
আর তিনি এসিবির আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে সম্ভাব্য দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন এমন তদন্তের বিষয়ে দুর্নীতির তদন্তে থাকা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন বা তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানানোয় তার বিরুদ্ধে ২.৪.৬ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে আইসিসি।