ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য ঘরের মাঠে মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিলনা বাংলাদেশের সামনে। বসুন্ধরা কিংস এ্যারেনায় বুক চিতিয়ে লড়াই করে সেই ম্যাচ ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় জামাল, রাকিব, ফাহিমরা। যার ফলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের রাউন্ড-২ তে পৌঁছাল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। যেখানে গ্রুপ ‘আই’ এ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবানন। হোম এন্ড এওয়ে ভিত্তিতে এই রাউন্ডে মোট ছয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।
এখন প্রশ্ন হলো দ্বিতীয় রাউন্ডের বাধা পেরিয়ে গেলেই কি ফুটবল বিশ্বকাপে সুযোগ মিলবে বাংলাদেশের ? উত্তর হল, ‘না’। পরবর্তী ফুটবল বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ৩২ থেকে বেড়ে হবে ৪৮ টি। যেখানে এশিয়া অঞ্চল থেকে সরাসরি ৮ দল বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে। বাকী একটি দলের সুযোগ থাকবে আন্ত:মহাদেশীয় প্লে-অফ খেলে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার।
এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে নয়টি গ্রুপে মোট ৩৬টি দল অংশ নিবে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মায়ানমারের মতো নয়টি দল প্রাক-বাছাই খেলে এই রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে। বাকী দলগুলো র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকার কারণে আগে থেকেই এই রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছিল।
নয় গ্রুপের গ্রুপ চ্যম্পিয়ন ও গ্রুপ রানারআপ মিলে ১৮টি দল উত্তীর্ণ হবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে। এই দলগুলো আবার সরাসরি আগামী এশিয়ান কাপ খেলার সুযোগ পাবে।
তৃতীয় রাউন্ডে উত্তীর্ণ ১৮ দলকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতি গ্রুপে দল থাকবে ছয়টি। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল মিলে ছয় দল সরাসরি ২০২৬ বিশ্বকাপে সুযোগ পাবে। আর গ্রুপগুলোর তৃতীয় এবং চতুর্থ দল চলে যাবে বাছাইপর্বের চতুর্থ রাউন্ডে।
সেখানে ছয় দল খেলবে দুটি গ্রপে ভাগ হয়ে। প্রতি গ্রুপে তিনটি করে দল থাকবে।
চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচগুলো হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। অর্থাৎ এক লেগেই খেলার নিষ্পত্তি হবে। সেখান থেকে দুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দল এশিয়ান অঞ্চলের সপ্তম ও অষ্টম দল হিসেবে বিশৃবকাপে জায়গা করে নেবে।
এছাড়া বাকী একটি দলের জন্য থাকবে মহাদেশীয় প্লে-অফ খেলে বিশ্বকাপ কেলার নিশ্চয়তা।