পাকিস্তান ক্রিকেটের হালহকিকত নিয়ে বিশেষ তথ্য ফাঁস করলেন পাকিস্তানী পেইসার নাসিম শাহ।বাবর আজম মোহাম্মদ রিজওয়ান কিংবা হালের শাহিন শাহ আফ্রিদি কেউই ভয়ের উর্দ্ধে না।
হরদরম পারফর্ম করেও ভয়ে কাবু হয়ে থাকেন যখন তখন দল থেকে বাদ পরতে পারেন এমনটা ভেবে।এমনকি ক্রিকেট বোর্ড থেকে ছুটি দিতে চাইলেও সে ছুটি উপেক্ষা করে নিজ থেকেই জানান খেলার কথা। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হলেওক্ষতি নেই খেলতে হবে, দলে নিজের জায়গা পাঁকা করতেই নাকি দুর্বল প্রতিপক্ষকেও ছাড়েন না বাবর রিজওয়ান’রা।‘Fear of being replaced doesn’t allow players to rest’ হিন্দুস্তান টাইমস এমন এক শিরোনামে প্রকাশ করেন এমন চাঞ্চল্যকর খবর।
অবশ্য ঘরের খবর পরের কাছে বলেছেন পাকিস্তানেরই তারকা পেসার নাসিম শাহ।তার মতে
প্লেয়াররা বেশ ভয়ে থাকে,যখন তখন দল থেকে বাদ পরতে পারেন ভেবে।পিএসএল চলাকালীন এক সাক্ষাৎকারে নাসিম বলেন, ‘আমার মনে হয় পাকিস্তানে এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, এখানে সমস্যাটা একটু ভিন্ন। এখানকার পরিস্থিতিটা এমন যে নতুন কেউ যদি এক ম্যাচে ভালো পারফর্ম করে তাহলে মূল বোলাররা একাদশে নিজেদের জায়গা নিয়ে ভয়ে থাকে। এবং তারা এটা শঙ্কায় থাকেন পরের ম্যাচে তাকে খেলানো হবে কিনা। এই ভয়ের কারণ খেলোয়াড়রা অনেক সময় বিশ্রাম নিতে চায় না। কারণ অনেক সময় আপনি যখন বিশ্রাম নেবেন তখন আপনার ক্যারিয়ার বিশ্রামে যেতে পারে।’ ক্যারিয়ার বিশ্রামে যাওয়ার জন্য অবকাশ যাপন ই হতে পারে দায়ী।এমনটাই মনে করেন নাসিম, অবশ্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বলে কথা যখন তখন যা কিছুই হতে পারে।
সেই সাক্ষাৎকারে নাসিম আরও বলেন,‘খেলোয়াড়দের মাঝে আরও একটি ভয় আছে। আমাদের সংস্কৃতিটাই এমন যে আমরা যদি বলি আমাদের শরীর পুরোপুরি শতভাগ ফিট নয় কিংবা আমরা ক্লান্ত। তখন খেলার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নিয়ে অনেক কথা হবে। এমনকি খেলোয়াড়রাও আপনাকে নিয়ে কথা বলতে থাকে যাতে করে আপনি স্বেচ্ছায় বিশ্রাম না নেন।’ ক্রিকেটে বিশ্রামের যথেষ্ট দরকার আছে, টিম ইন্ডিয়া ইংল্যান্ডের মতো বড় বড় দল গুলো তাঁদের আলাদা একাদশ রাখে শুধু মাত্র ওয়ার্ক লোড মেইনটেইন করার জন্য। প্লেয়ারদের উপর যাতে অনেক বেশি ওয়ার্কলোড না পরে সে দিক বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা এখানেই ভিন্ন।
নিজেদের পরিসংখ্যান আর দলের জায়গা পোক্ত করতেই খেলে থাকেন বিরতিহীন ভাবে।সাধারণত বড় প্লেয়াররা দুর্বল প্রতিপক্ষের সাথে নিজেদেরকে
বিশ্রামে রাখেন বা বোর্ডও এমনটা চায়, কিন্তু পাকিস্তানি ব্যাটার বাবর আজমের এমন শতক হাকানো ইনিংসও পাবেন যে, ঐ ম্যাচে বাবরের
খেলাটা স্রেফ হাতির সাথে নাও বাঁধার মতো অবস্থা।সেই সাথে প্রশ্ন উঠছে জুনিয়রদের সুযোগ না দিয়ে নিজের জায়গা পোক্ত করতেই কি বাবর রিজওয়ানরা এভাবে খেলছেন?
পাক তারকাদের এই ভয় কাটাতে পিসিবি কোনো তদবির করে কি না সেটাই দেখার বিষয়!