৩৭ বছর বয়সে যখন একজন ক্রিকেটার প্রকৃতির নিয়ন মেনে ক্যারিয়ারের শেষ টা দেখেন। তখন সেখানে সাকিব আল হাসান বোধহয় ব্যাতিক্রম।
ব্যাতিক্রম শব্দ টা কে বাচিয়ে রেখেছেন সাকিব।
কথায় কথায় তুলে নিচ্ছেন উইকেট সেটাও আবার টেষ্ট ক্রিকেটে ভাবা যায়।।
বয়স যেনো সাকিবের কাছে নিতান্তই
এখন একটা সংখ্যা মাত্র!
দীর্ঘ এক যুগ পর কাউন্টি ক্রিকেট ফিরেছেন সাকিব, আর ফেরাটাও করে রাখলেন স্বরনীয়।
সারের হয়ে বল হাতে তুলেন নিয়েছেন ৯ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে এসে পেলেন ফাইফারের দেখা।।
প্রথম ইনিংসে সাকিবের স্পিন বিষে নীল হয়েছিলো, প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা পকেটে পুড়েছিলেন ৪ উইকেটে, আর দ্বিতীয় ইনিংসে, পেয়েছেন ৫ উইকেটে।
সাকিবের বল হাতে এমন বাজিমাতের জয়ের সপ্নে বুধ হয়ে আছে তার দলও।।
২য় ইনিংসের তৃতীয় দিনে বল হাতে এসে সাকিব তুলেছিলেন ৪ উইকেট।
নিজের দ্বিতীয় বলেই আর্চি ভনকে বোল্ড করে শুরু এর পর পঞ্চম ওভারে টম অ্যাবেলকে ফেলেছেন এলবিডব্লুর ফাঁদে। এরপর ফিরিয়েছেন জেমস রিউ ও সমারসেট অধিনায়ক লুইস গ্রেগরিকেও।
চতুর্থ দিনে, পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৩৫ তম ফাইফার থেকে দূরে ছিলেন মাত্র উইকেটের।।
শেষ দিনে এসে টম ব্যান্টনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন আল হাসান । প্রথম ইনিংসে সমারসেটের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন ব্যান্টন। আর তাকে বোল্ড করে ফেরালেন আল হাসান।
তাতে পূর্ণ হয় সাকিবের ফাইফার।।
রাওয়ালপিন্ডিতে বল হাতে উজ্জল ছিলেন সাকিব।।
আর এই সাকিবের দেখা হয়তো, ভারতের বিপক্ষে পেতে চাইবে নাজমুল হোসেন শান্ত।
চেন্নাইয়ের চিপকের স্পিন নির্ভর উইকেটে ভারত বাংলাদেশ প্রথম টেষ্ট।।
তাই চিপকের উইকেটে স্পিনার কার্যকরী হবে সেটা সবার জানা।।
আর তাই সাকিব যদি নিজের স্বমহিমায় আলো ছড়ান, স্পিন ফেলকিতে রোহিত শর্মা দের ঘায়েল করতে পারেন। তবে টিম-ইন্ডিয়ার জন্য বিপদ ধেয়ে আসবে সেটা বলার আপেক্ষা রাখে না।
আরও বল হাতে মি:৭৫ যে ফর্মে আছেন, তাতে মিরাজ,নাঈম, তাইজুল রা যদি সাকিব কে সঙ্গ দিতে পারেন ঠিকঠাক ভাবে তাহলে, সাকিব হতে পারেন চেন্নায় বাংলার হিরো।।।।।