চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে একশর নিচে অলআউট হওয়ার দুটি দুঃস্বপ্ন গত কিছুদিন তাড়া করে বেড়িয়েছে টাইগারদের। সেই দুঃস্বপ্ন ভোলার জন্য এবার শিষ্যদের শৃঙ্খলা মেনে ব্যাটিং করার দীক্ষা দিয়েছিলেন জেমি সিডন্স।
এরই একটি অংশ ছিল- প্রত্যেককে অন্তত ৬ ঘণ্টা করে ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করতে হবে। চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যাট হাতে স্বপ্নের মত একটি দিন অতিক্রান্ত করার পর ব্যাটিং কোচ জানালেন, ব্যাটিং ইউনিটের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট তিনি।
সিডন্স মনে করেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাটিং ইউনিটের ভরাডুবির কারণ সময় নিয়ে ব্যাটিং না করা। তার ভাষায়, ‘আগে আমরা সময় নিইনি। এবার যেন এই ভুল না হয় তা নিশ্চিত করতে চেয়েছি। টেস্টে লম্বা সময় ধরে ব্যাট করতে হয়। চাইলেই রান করা যায় না। আমরা চেয়েছিলাম, যে-ই ব্যাটিং যাবে সে যেন ৬ ঘণ্টা ব্যাট করে। সেই চ্যালেঞ্জে তামিম সফল। মুশফিক ও লিটন সফল হওয়ার পথে আছে।’
মুশফিকুর রহিমের মত সিনিয়র ক্রিকেটারও কাঠগড়ায় উঠেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে। সেই মুশফিক আজ খেলেছেন খুবই সাবধানী ভঙ্গিমায়; যা শুধু সিডন্স নয়, সবাইকেই মুগ্ধ করেছে। সিনিয়র ব্যাটারদের জন্য কী ছিল সিডন্সের টোটকা?
কোচ জানালেন, ‘সিনিয়রদের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কিছু নেই, তবে গেম সেন্স আনা দরকার ছিল। এই টেস্টে সিনিয়ররা সেই কাজ করছে। তারা আকাশে বল তুলে মারেনি। লিটন দুইবার চেষ্টা করলেও পরে শুধরে নিয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। মুশফিককে যা বলা হয়েছে তা-ই করেছে। সবার নিজের সেরা শট খেলেছে। দিনশেষে হয়ত একটু ধীর, তবে যা চেয়েছিলাম সেভাবেই খেলেছে।’
‘দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫৩ ও ৮০ রানে আউট হওয়ার পর আত্মবিশ্বাস ফেরানোটা জরুরী ছিল। খুব বেশি কিছু নিয়ে কাজ করতে হয়নি, ছোট ছোট বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। তবে সবচেয়ে জরুরী ছিল শৃঙ্খলা- হোক তা ব্যাটিং কিংবা বোলিং। এই টেস্টে সবাই দারুণ শৃঙ্খলা দেখাচ্ছে।’
নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মুমিনুল হকের ব্যাটিংয়ে অবশ্য সেই শৃঙ্খলার দেখা মেলেনি। ২ রান করে আউট হয়ে দুজনই অঙ্কুরে বিনষ্ট করেছেন নিজেদের ইনিংস। তবে স্মরণীয় দিনে এই দুই ব্যর্থতা বড় করে দেখতে নারাজ সিডন্স।
তিনি বলেন, ‘সব ব্যাটারদের নিয়েই তো ব্যাটিং বিভাগ। অনেকে ভালো করলে ২-১ জনের বাজে ইনিংস মেনে নেওয়াই যায়। আমি ওদের নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। দুজনই ভালো বত করতে পারে। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে এই ম্যাচে আমরা ভালো করেছি। আশা করি পরের ইনিংস ও পরের টেস্টে ওরা ভালো করতে পারবে।’