কুমিল্লা এর আগে ৪ বার ফাইনালে উঠে চারবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে,আর ফরচুন বরিশাল ফাইনালে ৩ বার উঠলেও শিরোপা জেতা হয়নি একবারও! তাই এবারও ভাগ্য সহায়ক হবে কুমিল্লার? নাকে ডেডলক ভাঙবেন তামিম ইকবাল?
প্রশ্নের জবাবে প্রথম টস খেলাটাই জয় পায় তামিম আর সেটিই ছিলো বড় এক এডভান্টেজ! মিরপুরেরল ধীরে ধীরে ব্যাটিং সহায়ক হওয়া পিচে বরিশালের জন্য ছিলো দারুন এক শুরু! বল হাতে আজও প্রথম ওভারে উইকেট এনে দেন কাইল মায়ার্স!
একবার জীবন পেয়েও ৪ বলে ৫ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। তিনে ব্যাট করতে এসেই দ্রুত রান তুলতে থাকেন তাওহীদ হৃদয়।
তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই টাইগার ব্যাটার। ১০ বলে ১৫ রান করে জেমস ফুলারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন তিনি। পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস। তবে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি লিটন। ১২ বলে ১৬ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার।
এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন গত আসরে কুমিল্লাকে শিরোপা এনে দেওয়ার নায়ক জনসন চার্লস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই ডান হাতি ব্যাটার। ১৫ বলে ১৭ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। ৪ বলে ৩ রান করে জনসনের দেখানো পথে হাঁটেন মঈন আলীও।
কিন্তু পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৩৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ দিকে জাকের আলীকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন রাসেল। ১৯তম ওভারে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে মোট ২১ রান তোলেন এই ক্যারিবিয়ান মারকুটে ব্যাটার।
শেষ ওভারে প্রথম বলে ইয়োরকার দিয়ে রাসেলকে পরাস্থ করে সাইফউদ্দিন। কিন্তু নো বল ঘোষণা করে আম্পায়ার। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি রাসেল। পরের টানা দুই বল ওয়াইট দেন এই টাইগার পেসার।
পরের দুই বলেও রাসেলকে দুর্দান্ত ভাবে পরাস্থ করেন তিনি। চতুর্থ বলে স্ট্রাইক পান জাকের। সিঙ্গেল নিয়ে রাসেলকে স্ট্রাইক দেন তিনি। শেষ বলে এক রান নিয়ে সাত রান নিয়ে ওভার শেষ করেছে সাইফউদ্দিন। শেষ পর্যন্ত জাকের আলীর ২৩ বলে ২০ রান এবং রাসেলের ১৪ বলে ২৭ রানে ভর করে ১৫৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বরিশাল।
কিন্তু এই জবাব মিরপুরে অনেকসময় কার্যকরী হলেও,আজ শুরুতেই দারুন ওপেনিং করেন তামিম মিরাজ! প্রথম ৩ ওভারেই চল্লিশের বেশি রান করে ফেলেন এই দুই টাইগার ব্যাটার।
মুলত এখানেই পিছিয়ে যায় তারা।৮ম ওভারে দলীয় ৭৬ রানে মইনের বলে আউট হন তামিম ইকবাল খান। তবে তার আগেই নিশ্চিত হয়ে যায় আসরের সর্বোচ্চ রানের মালিক এই বরিশালের ক্যাপ্টেনই।
এরপর ওয়ান ডাউনে আজ ব্যাট হাতে নামেন কাইল মায়ার্স। তবে তখনও ক্রিজে ছিলেন ওপেন করতে নামা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।২৯ রান করে ১০ম ওভারে আউট হন তিনি।এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রায় শতক হলে,এরপর আর জয় পেতে কঠিন হয়নি বরিশালের।
চারবার ফাইনালে উঠে এবারই প্রথম শিরোপা ঘরে তুললো বরিশালের ফ্রাঞ্চাজিটি।আর ৫ বার ফাইনালে উঠে এবারই প্রথম হার দেখলো কুমিল্লা! আসরের সর্বোচ্চ ৪ চ্যাম্পিয়ন ট্রফির শোকেসে জায়গা পেলো একটি রানার্সআপ ট্রফি।
আর ৬ টি বিপিএল ফাইনাল খেলে এবারই প্রথম হার দেখলো লিটনও! তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম বিপিএল শিরোপা জিতলো দুই পান্ডব মুশি আর রিয়াদ!