ডমিঙ্গো বলেন, ‘ওয়ানডে জিতলেও টেস্ট ভিন্ন ফরম্যাট। ওয়ানডে সিরিজ থেকে ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগাতে হবে। তবে এটা এমন এক ফরম্যাট যেখানে আমাদের অনেক উন্নতির প্রয়োজন আছে। খুবই কঠিন একটি সিরিজ হবে বলে আমরা মনে করছি।’
সঙ্গে যোগ করেন ডমিঙ্গো, ‘নিউজিল্যান্ডে আমরা সিরিজ ড্র করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকা ঘরের মাঠে অনেক কঠিন প্রতিপক্ষ। তবে আমাদের ছেলেরা এখন ভালো খেলছে, টেস্টে আমরা উন্নতি করছি। ফলাফল হয়ত এতটা ভালো নয়, তবে আমাদের দল ভারসাম্যপূর্ণ হচ্ছে এবং সেরা খেলোয়াড়রাই টেস্ট খেলছে। আমরা তাই আশাবাদী। তবে সিরিজটি কঠিন হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। ওয়ানডে ও নিউজিল্যান্ড টেস্ট থেকে আমরা প্রেরণা নিব। দুই দলের জন্যই এই সিরিজ কঠিন হবে।’
সম্প্রতি বল হাতে বেশ ছন্দ আছেন টাইগার পেসাররা। তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলামরা নিজেদের দিনে গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষকে। এদিকে উল্টো অবস্থান স্বাগতিকদের। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের জন্য কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, এনরিক নরকিয়াদের মতো অভিজ্ঞ বোলারদের পাচ্ছে না তারা। তবে ডমিঙ্গো দক্ষিণ আফ্রিকান হওয়ার প্রোটিয়াদের শক্তিমত্তা সম্পর্কে ভালোই জানা আছে তার।
ডমিঙ্গো বলছিলেন, ‘আমাদের বোলার ভালো আছে, ব্যাটিংয়ে গভীরতা আছে। অনভিজ্ঞ বোলিং অ্যাটাক থাকায় একটু সুবিধা পাব, তারা চাপে থাকবে। দলে জায়গা ধরে রাখার জন্যও খেলবে। এটা আমাদের জন্য বোনাস। তবে এটা নিয়ে বেশি মাতামাতি চাচ্ছি না। দিনশেষে তারা দক্ষিণ আফ্রিকান। যাদের দুর্দান্ত রেকর্ড আছে। তাই মূল বোলাররা না থাকলেও তাদের মানসম্পন্ন বোলিং আক্রমণ থাকবে। ক্রিকেট রকেট সাইন্স না। আপনাকে সব বিভাগেই ভালো করতে হবে। একটি খারাপ সেশনে ৬–৭ উইকেট হারালে, দেড়শ রান দিয়ে দিলে ম্যাচ ফসকে যাবে।’