বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্বে ফিরছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
নিঃসন্দেহে অধিনায়ক হিসেবে মমিনুল হকের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে সাকিব আল হাসান। তবে সম্প্রতি দলে কোচদের আচরণ নিয়ে মাঠের বাইরে হয়েছে নানা আলোচনা। বিভিন্ন খবরে জানা গিয়েছিল মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অধিনায়কের থেকে কোচদের ভূমিকায় বেশি ছিল।
তবে সাকিবের বেলায় হয় সেটি হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় দলে সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফুটবল মাঠে অধিনায়কের থেকে কোচের ভূমিকা থাকে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু ক্রিকেটের মাঠে সেটিই ভিন্ন। সেখানে পৌঁছে তেমন কিছুই করার থাকেনা। মাঠের ভেতর অধিনায়ক যে সিদ্ধান্ত নেয় সেটি দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
ফুটবল মাঠে দল ব্যর্থ হলে ব্যর্থতার দায় কোচকে নিতে হয়। কিন্তু ক্রিকেট মাঠে ব্যর্থ হলে সেটি অধিনায়কের উপরে বেশি চাপ থাকে। এই জায়গায় ব্যর্থ হলে কোচরাও পাশে থাকে না। টিম ম্যানেজমেন্ট পাশে থাকে না। সেই পরিস্থিতির সঙ্গে যুদ্ধ করতে সাকিবের বিকল্প কেউ নেই।
তবে এই যুগের কোচরা নিজেদেরকে ফুটবল কোচ হিসেবে মনে করেন বলে জানিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সম্প্রতি প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন, “এই যুগের ক্রিকেটে কোচরা তো কেউ মরিনিও হতে চায়, কেউ চায় গার্দিওলা হতে। তারা নিজেদের ফুটবল কোচ ভাবে।
কিন্তু ফুটবল কোচ-নির্ভর খেলা হলেও ক্রিকেট পুরোপুরিই অধিনায়ক-নির্ভর খেলা। অধিনায়ককে দল নির্বাচন, একাদশ গঠনে প্রাধান্য না দিলে তার কাছে জবাবদিহিও চাওয়া ঠিক নয়। আশা করি, সাকিবের ক্ষেত্রে সেটা হবে না, যেটা মুমিনুলের ক্ষেত্রে হয়েছে। অবশ্য কারও সে রকম ইচ্ছা হলেও সাকিবের ক্ষেত্রে হয়তো বলার সাহস পাবে না”
কিন্তু ফুটবল কোচ-নির্ভর খেলা হলেও ক্রিকেট পুরোপুরিই অধিনায়ক-নির্ভর খেলা। অধিনায়ককে দল নির্বাচন, একাদশ গঠনে প্রাধান্য না দিলে তার কাছে জবাবদিহিও চাওয়া ঠিক নয়। আশা করি, সাকিবের ক্ষেত্রে সেটা হবে না, যেটা মুমিনুলের ক্ষেত্রে হয়েছে। অবশ্য কারও সে রকম ইচ্ছা হলেও সাকিবের ক্ষেত্রে হয়তো বলার সাহস পাবে না