জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচের স্কোয়াডে নেই সাকিব আল হাসান, এটা ছিলো অনেকটা অনুমেয় সংবাদ। কিন্তু চমক ছিলো মোস্তাফিজ কে নিয়ে। কেননা, আইপিএল থেকে যেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের জন্য তাকে ফেরত আনা হচ্ছে, সেখানে প্রথম তিন ম্যাচের দলে নেই তার নাম। মূলত টানা খেলার দখল কমানোর জন্যই নির্বাচকদের এমন সিদ্ধান্ত। তবে, স্কোয়াডে ফিরেছেন আফিফ, তানভীর সহ অনেকে। তাদের নিয়েই প্রথম ম্যাচের একাদশ সাজানো হবে।
সেক্ষেত্রে ওপেনিং পজিশনে লিটন কুমার দাশের সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যেতে পারে তরুন তানজিদ তামিম কে। টেস্ট ও ওয়ানডে-তে ব্যাট হাতে রান খড়ায় ভুগলেও লিটনের টি টোয়েন্টি পার্ফম অবশ্যই স্বস্তি দিবে। আর তরুন তানজিদ তামিম কে ভাবা হচ্ছে বিশ্বকাপের ব্যাক আপ ওপেনার হিসেবে।
তিন নম্বর পজিশনে অবধারিত নাম নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কত্বের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাট হাতেও দারুন অবদান করতে হবে শান্তকে। এছাড়া, চার নম্বরে থাকবেন আরেক তরুন তাওহীদ হৃদয়। ব্যাট হাতে এখন দলের অন্যতম ভরসার নাম হৃদয়। প্রতি ম্যাচেই করছেন পার্ফম, তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও বড় ভূমিকা রাখতে হবে তাকে। পাঁচ নম্বরে থাকবেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের একমাত্র সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে স্কোয়াডে আছে তার নাম। তাই ব্যাটিংয়ের সাথে অভিজ্ঞতার দিক থেকেও রিয়াদকে নিতে হবে বড় দায়িত্ব।
এর বাহিরে একাদশে থাকবেন জাকেন আলী অনিক। নিজের অভিষেক সিরিজেই পার্ফম করে আলোচনার টেবিলে জাকেরের নাম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে দারুন পার্ফম করেছেন তিনি। নিজেকে প্রমান করে এখন বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও আলোচনায় আছেন জাকের। তাই এই সিরিজে নিজের সামর্থের পুরোটা প্রকাশ করতে হবে তাকে। এছাড়া, অলরাউন্ডার হিসেবে থাকবেন শেখ মাহাদী হাসান ও একমাত্র লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। মূলত স্পিন বিভাগে তাদের দুজনকেই নিতে হবে পুরো দায়িত্ব। আর পেস ইউনিটের ভরসা থাকবে তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিবের উপর। তাসকিন ও শরিফুল বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জন্য পরিক্ষিত হলেও, জুনিয়র সাকিব ভালো করলেই পাবেন টিকিট।