আগের ম্যাচে ছিলেন বিশ্রামে। পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে তাকে বসিয়ে পাজ্জেলা ও ওটামেন্ডিকে নামান কোচ স্কালোনি৷ তবে নকআউটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবারো তাকে নিয়েই একাদশ সাজান স্কালোনি। বিগত কয়েক ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোকে নিয়ে যেভাবে খেলছিলেন, তাতে বুঝাই যাচ্ছিল না ইঞ্জুরি থেকে ফিরেছেন সদ্য। আর সেই ফিরে কতই না দুর্দান্ত তিনি।
আগের দুই ম্যাচে ডিফেন্স সামলেছেন। তার পাথর দুর্গ ভেদ করতে পারেনি কেউ, কোপার মঞ্চে আর্জেন্টিনার জালে কেউ দিতে পারেনি গোল। এদিন শুরুতে অবশ্য ইকুয়েডর বেশ কিছু আক্রমণ করে ভয় ধরাতে চেয়েছিল, তবে সেখানেও ত্রাতা হন লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। আর তাতে ইকুয়েডরের বিপক্ষেও অব্যাহত থাকে আর্জেন্টাইন রক্ষণের জাদু।
তবে এদিন শুধু রক্ষণে নন, মার্টিনেজ দলের জন্য ত্রাতা হয়ে যান আক্রমণে। নকআউটের মঞ্চে ডেডলক ভাঙেন তিনি, করেন দলের প্রথম গোল। ম্যাচের শুরু থেকে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করলেও গোল পাচ্ছিল না আর্জেন্টিনা। আর সেখানেই আর্জেন্টিনার ত্রাতা হন মার্টিনেজ।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে আসে এমন মুহুর্তে।বাম দিক থেকে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। সেই কর্নার থেকে বল পেয়ে হেড দেন এলেক্সিস ম্যাক এলিস্টার। ম্যাক এলিস্টারের হেড গোলের ঠিকানা না পেলেও পায় পাশে থাকা মার্টিনেজকে। উচ্চতা বেশি না হলেও নিজের পজিশন ঠিকই খুজে নিয়েছিলেন মার্টিনেজ। আর সেখানেই দারুণ এক হেড করেন তিনি। সেখান থেকে গোলরক্ষক অবশ্য বল ফেরানো এক চেষ্টা করেন, তবে সেটা ততক্ষণে চলে যায় গোললাইন অতিক্রম করে। আর তাতেই ম্যাচে লিড পায় আর্জেন্টিনা
গোল ছাড়াও এদিনও দারুণ ডিফেন্স সামলান মার্টিনেজ। শুরুর হাফেই দেন ৪২ পাস ও করেন ২ ট্যাকেল। এছাড়া চার বারের চেষ্টায় চারবার দেন সফল লং বল। ৩ বার ফাইনাল থার্ডেও দেন পাস। সব মিলিয়ে ধীরে ধীরে আর্জেন্টিনা দলের অপরিহার্য অংশ হয়ে যাচ্ছেন এই আর্জেন্টাইন কসাই।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটিই প্রথম গোল লিসান্দ্রো মার্টিনেজের৷ এর আগে ক্লাবে গোল দিলেও জাতীয় দলের হয়ে করা হয়নি গোল। নিজের ২১ তম ম্যাচে এসে পুরণ করলেন সেটিও। এর আগে আর্জেন্টিনার জার্সিতে এবারের কোপা আমেরিকায় গোল পেয়েছেন লাউতারো মার্টিনেজ। শেষ ৫ গোলের একাই করেছেন ৪ গোল। এবার গোল করলেন লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। এ যেন মার্টিনেজেই জয় আর্জেন্টিনার।