শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান দুই দলের জন্যেই ম্যাচটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেমিফাইনালের আশা উজ্জ্বল করতে এই ম্যাচ জয়ের বিকল্প কোনো পথ খোলা ছিল না। তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও উইকেট তুলে নিতে ব্যর্থ লঙ্কানরা। এতে দারুণ এক জয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল আফগানরা
সোমবার পুনেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৩ ওবারে ২৪১ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ২৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের সহজ জয় পায় আফগানরা। এই জয়ে লঙ্কানদের আশা ভেঙে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে রইল হাসমতউল্লাহ শহীদির দল।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ৪ বল খেলে শূন্য রানে ফিরেছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে টেনে নিয়ে গেছেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। তবে দলীয় ৭৩ রানের মাথায় ভেঙে যায় দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ৫৭ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৯ রান করেন আফগান ওপেনার।
তবে তিনে নামা রহমত ঠিকই ফিফটি তুলে নিয়েছেন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭৪ বলে ৬২ রান। এরপর মিডল অর্ডারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইও। এই দুইজনের অপরাজিত ফিফটিতে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানরা।
আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান এসেছে আজমতউল্লাহর ব্যাট থেকে। আর অধিনায়ক শাহিদি করেছেন ৭৪ বলে ৫৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এতে ৪৫ ওভার ২ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানরা।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই দিমুথ করুণারত্নেকে হারায় শ্রীলঙ্কা। ফারুকীর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ২১ বলে ১৫ রান করেন তিনি। করুণারত্নে দ্রুত ফিরলেও সেই ধাক্কা ভালোভাবেই সামাল দেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৪৬ রান করে নিশাঙ্কা ফিরলে ভাঙ্গে সেই জুটি।
এরপর মেন্ডিসও আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনননি। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৯ রান। এরপর সামারাবিক্রমা-ধানাঞ্জয়া ডি সিলভারা উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে লঙ্কানরা। শেষদিকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ২৬ বলে ২৩ ও মাহিশ থিকশানা ৩১ বলে ২৯ রানে ৪৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারানোর আগে স্কোরবোর্ডে ২৪১ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা।
৭ উইকেটের বড় জয়ে বিশ্বকাপের আসরে সেমির পথে টিকে রইলো আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আসরে প্রথম জয় পেয়েছিল তারা। এরপর পাকিস্তান, আর এবার শ্রীলঙ্কা সবমিলিয়ে ৬ ম্যাচে আফগানদের ৩ জয়।