বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটে হারলো বাংলাদেশ। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৩৭ ৯ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৮ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ২৪.১ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছায় ইংল্যান্ড।
বৃষ্টি আইনে ইংল্যান্ডের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৯৭ রান। সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয় ইংলিশ ব্যাটাররা। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে কিছুটা হলেও ম্যাচে রেখেছিলো পেসাররা। যদিও শেষদিকে মইন আলী ও জো রুটের কাছে আর পেরে ওঠেনি বোলাররা।
এদিন প্রথম ওভারেই মুস্তাফিজের শিকার হন মালান। তবে আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো চালান তান্ডবলীলা। ৬ চার ও ১ ছয়ে ২১ বলে ৩৪ রান করা বেয়ারস্টোকেও ফেরান মুস্তাফিজ। দলীয় ৭৩ রানে হ্যারি ব্রুক আউট হন হাসান মাহমুদের বলে। এরপর কিছুক্ষণ চলে বাটলার ঝড়। ২০০ স্ট্রাইকরেটে ১৫ বলে ৩০ করা বাটলারকে সাজঘরে পাঠান শরিফুল। লিয়াম লিভিংস্টোনকেও ক্রিজে থিতু হতে দেননি তাসকিন। একপর্যায়ে ১১৪ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়া ইংল্যান্ডকে এরপর এগোতে থাকে মইন আলী ও জো রুটের জুটিতে ভর করে। দুজনের জুটিতে আসে ৭৯ রান। যদিও শেষদিকে এসে নাসুমের শিকার হন মইন ৫৬(৩৯)। তবে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন জো রুট ২৬(৪০)।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিলেও দ্রুত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুরুতেই লিটন দাসকে হারায় টাইগাররা। এরপর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শান্তও ফিরে যান মাত্র ২ রান করে। তবে মিরাজকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তানজিদ তামিম। তবে ৫২ রানের জুটি গড়ার পর ব্যক্তিগত ৪৫ রানে আউট হন তামিম।
তামিমের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মেহেদী মিরাজ এবং অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তবে আদেল রশিদের গুগলিতে বোল্ড হয়ে আউট হন মুশফিক। মুশফিকের ৮(১৫) পর সাজঘরে ফিরেন মাহমুদউল্লাহও ১৮(২১)।
বাংলাদেশ দল ৩০তম ওভারের শেষ বল মোকাবিলা করতেই নামে বেরসিক বৃষ্টি। এরপর দীর্ঘসময় পর খেলা শুরু হলেও ম্যাচ চলে যায় ৩৭ ওভারের কার্টেল ওভারে। যদিও বৃষ্টির পর বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটারই সুবিধা করতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৭৪ রান আসে মেহেদি মিরাজের ব্যাট থেকে।
ইংল্যান্ডের পক্ষে রিচ টপলি সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন।