যাদের হাতেই শিরোপা উঠুক না কেন, নারী বিশ্বকাপের এবারের আসরের নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখতো ফুটবল বিশ্ব।কারণ যে দুই দল ফাইনালে উঠেছিলো তার কেউই এর আগে বিশ্বকাপ শিরোপা উচিয়ে ধরতে পারেনি।তাই ফাইনালে দুই দলের সামনেই ছিল প্রথমবার বিশ্বকাপে উঠিয়ে ধরার স্বপ্ন।
তবে সেই স্বপ্নকে সত্যিতে পরিণত করতে পারলো স্পেনের মেয়েরা।নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের রোল অব অনারে নাম লেখালো ‘লা রোহা’রা।আর ফুটবল বিশ্ব দেখলো নতুন এক নারী বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
সিডনির একর্ স্টেডিয়ামে এদিন একক আধিপত্য দেখায় স্পেন।গোল ব্যবধান বেশি না হলেও মাঠের খেলায় স্পানিশদের দাপট ছিল স্পষ্ট।ম্যাচের শুরু থেকেই ইংরেজদের চেপে ধরেছিল স্পেন।বল দখল,গোল মুখে শট সব জায়গায় এগিয়েছিল স্পেন।যদিও প্রথমার্ধে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ডও।তবে লরেন হ্যাম্পের জোরালো শর্ট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে সুযোগ হাতছাড়া হয় ইংলিশদের।এরপর ম্যাচের ২৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন।ওলগা কারমোনার বা পায়ের কোনাকুনি শর্ট বল তাহলে জড়ালে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।
এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আরো বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠে স্পেনিশরা।তবে প্রথমার্ধে আর কোন গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধেও বেশি সুবিধা করতে পারেন ইংল্যান্ড। পুরো বিশ্বকাপে দারুন ছন্দে থাকা ইংলিশরা এদিন যেন খোলসবন্দী হয়ে পড়েছিলেন।ম্যাচের শেষের দিকে এসে ইংলিশ গোলরক্ষক ইয়ার্পস দুর্দান্ত কিছু সেফ না দিলে গোল ব্যবধান আরো বেশি হতো স্পেনের।
এমনকি খেলার মধ্যে পাওয়া স্পেনের একটি পেনাল্টি শর্টও প্রতিহত করেন এই গোলরক্ষক.
তবে শেষ পর্যন্ত সেই গোল আর শোধ করা হয়নি ইংল্যান্ডের।আর তাতেই ১-০ গোলের জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো ইংল্যান্ড নারী ফুটবল দল।