টানা তৃতীয় বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে নিউজিল্যান্ড। চলতি আসরেও তারা উড়ন্ত শুরুই পেয়েছিল। যদিও মাঝে টানা চার ম্যাচ হেরে আরও একবার স্বপ্ন ভাঙার শঙ্কায় পড়ে যায় কেইন উইলিয়ামসনের দল। অবশ্য নিজেদের দুরন্ত ফর্ম দেখিয়েই শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালে পা রাখেন তারা। বিপরীতে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত এখনও অপ্রতিরোধ্য, ৯ ম্যাচে তাদের কোনো হার নেই। তাই তো ‘আন্ডারডগ’ তকমা মেনে নিতেও আপত্তি নেই উইলিয়ামসনের। একইসঙ্গে তিনি রোমাঞ্চকর লড়াইয়েরও আভাস দিয়েছেন।
বুধবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটায় প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে কিউই অধিনায়ককে বেশ রসিক মনোভাবেই দেখা গেল। ২০১৯ আসরে ভারতকে সেমিতে হারানোর স্মৃতি যে এখনও তরতাজা উইলিয়ামসনের। এবারও সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে যেকোনো কিছুই সম্ভব— তিনি এ কথাও মনে করিয়ে দিলেন
ভারতকে হারানো কঠিন কি না– এমন প্রশ্নে উইলিয়ামসনের জবাব, ‘দারুণ প্রশ্ন। আমরা জানি এটা কঠিন এক চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। তারা এমন একটি দল, যারা দারুণ খেলছে। কিন্তু আমরা জানি, শেষ মুহূর্তে এসে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে এবং এটা মূলত একটা দিনের ব্যাপার। তাই দল হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নিজেদের ক্রিকেটে আবার মনোযোগ দেওয়া। আমরা এখন পর্যন্ত দারুণ কিছু ক্রিকেট খেলেছি। কয়েকটি ম্যাচ কাছাকাছি গিয়ে হেরেছি এবং একই সঙ্গে কয়েকটি জয় আমাদের এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তাই সামনে অপেক্ষমাণ চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত।’
আন্ডারডগ’ তকমা মেনে নিয়ে ইনজুুরির ফাঁকে নেমেও দারুণ ছন্দময় এই কিউই অধিনায়ক বলেন, ‘আন্ডারডগ বিষয়টি নিয়ে আপনারা যা লেখেন, তাতে খুব একটা পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয় না। তবে সেটা ঠিক আছে। ভারত অসাধারণ খেলছে। সবচেয়ে ভালো দল না হলেও তারা সেরাদের একটি। তবে আমরাও জানি, নিজেদের দিনে যদি সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি, তাহলে তা অবশ্যই আমাদের সেরা সুযোগ দেবে এবং যে কোনো কিছুই হতে পারে।’
মুম্বাইয়ের মাঠে ভারতীয় সমর্থকরা পরিণত করতে পারেন নীল সমুদ্র। বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতেই একে দারুণ ব্যাপার বলে উল্লেখ করেন উইলিয়াসমন, ‘আমরা জানি, প্রচুর নীল সমর্থক (ভারতীয়) তাদের দলকে সমর্থন দেবে এবং সেটাও খুব আবেগের সঙ্গেই। কিন্তু একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার কাছে এত বেশি সমর্থকের সামনে খেলার সুযোগ পাওয়াটা বিশেষ কিছু। আমাদের দেশটা ছোট, অনেক সময় গ্যালারিও ভরে না। কিন্তু সমর্থকেরা দারুণ পরিবেশ তৈরি করতে পারে। আশা করছি, আগামীকালও এমন একটা সংখ্যা দেখতে পাব, আর আমাদের খেলোয়াড়দেরও ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে খেলার অভিজ্ঞতা আছে।’