কিছুদিন আগে মালদ্বীপকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। বাছাইপর্বের এই রাউন্ডে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে মিলিয়ে ৬ টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন জামাল ভূঁইয়ারা।
নিজেদের প্রথম ম্যাচই শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আগামীকাল অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে তারা।
বাস্তবতা বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দুঃসাহসই বটে। অস্ট্রেলিয়াকে কঠিন প্রতিপক্ষ মানছেন বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও।
আজ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের লক্ষ্য এবং প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা।
তিনি বলেন, ‘চার দিন হলো জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হয়েছে। এর ম্যধ্যে তিনটি ট্রেনিং সেশন হয়েছে। এখনপর্যন্ত পুরো স্কোয়াড নিয়ে ট্রেনিং করা হয়নি। আজ সকলে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছে। এখন আমরা পুরো দল নিয়ে অনুশীলন করতে পারবো। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ’
‘আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। তবে এটা আমাদের খেলার উন্নতির জন্য অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলাই আমাদের লক্ষ্য। সেখান থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে সেই অভিজ্ঞতা লেবানন ম্যাচে কাজে লাগাতে চাই। আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই খেলতে যাচ্ছি। আশা করি ভালো কিছু অর্জন করতে পারবো। ’-যোগ করেন তিনি।
সবশেষ ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই হেরেছিল বড় ব্যবধানে। তবে এবারের গল্প ভিন্ন হতে চলেছে বলে বিশ্বাস করেন কাবরেরা। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আগের ম্যাচের ফলাফল নিয়ে আমাদের খুব বেশি ভাবার কারণ নেই। আমরা এখন আগের চাইতে অনেকটাই পরিবর্তীত দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলাই এখন আমাদের লক্ষ্য। এরপর লেবানন এবং ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে। সেখানে আমরা ভালো কিছু করার বিষয়ে আশাবাদী। ’
‘অস্ট্রেলিয়া শুধু এশিয়ার মধ্যে সেরা নয় তারা বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতেও খেলেছে। তাদের বিপক্ষে তাদের মাঠে লড়াই করা কঠিন হবে। তবে আমরা শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। আমরা এটা প্রমাণ করতে চাই আগের চেয়ে এখন আমরা ভালো দল। ’ -যোগ করেন তিনি।
বড় দলের বিপক্ষে খেলার আগে কোনও বাড়তি চাপ নিতে নারাজ কাবরেরা। নির্ভার হয়েই মাঠে নামতে চান তিনি। কাবরেরা বলেন, ‘আমরা নিজেদর প্রতি কোনও বাড়তি চাপ নিচ্ছি না। আমরা নিজেদের খেলাটাই খেলেতে চাই। নিজেদের সেরা খেলাটা খেলে দেখাতে চাই। বাংলাদেশের এখন একটা নিজস্ব খেলার ধরন রয়েছে। যার মাধ্যমে বড় দলের বিপক্ষেও প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। সেটাই করে দেখাতে চাই। ’