ফিফা নারী বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।পুরো ম্যাচ জুড়ে আধিপত্য বিস্তার করে খেলে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ডের মেয়েরা।
এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সেমিফাইনাল খেলে প্রথমবার নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো ইংল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রায় ৮০ হাজার দর্শকের সামনে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামে ইংল্যান্ড ও স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।প্রথমার্ধে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে খেলে ইংল্যান্ড।
বল দখলের প্রায় ৬৭ শতাংশই ছিল ইংল্যান্ডের পায়ে।বল দখলের সঙ্গে সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার গোল মুখে বেশ কিছু ক্ষুরধার আক্রমণও করে ইংল্যান্ড। যার ফলস্বরূপ ম্যাচের ৩৬ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় ইংল্যান্ড।ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ভলিতে অস্ট্রেলিয়ার জাল খুঁজে নেয় এলা টনি।১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।
প্রথমার্ধে বাজে খেললেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়া।দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে দলটি।তার ফলস্বরূপ ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে অধিনায়ক সাম কেরের দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফিরে অস্ট্রেলিয়া।তবে সেই সমতা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা।৭২ মিনিটে লরেন হেম্প আবারো এগিয়ে দেন ইংল্যান্ডকে।বক্সের মধ্যে থেকে দারুন ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান তিনি।দ্বিতীয় গোল হজম করার পর আরো বেশি আক্রমণ করতে থাকে অস্ট্রেলিয়া।কিন্তু ইংলিশ গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোলের দেখা পাওয়া হয়নি তাদের।উল্টো ম্যাচের ৮৬ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে ইংলিশ খেলোয়াড় অ্যালিসিয়া রুশো গোল করে পুরো সিডনি স্টেডিয়ামের গ্যালারি থমকে দেন।পরবর্তীতে দুই দল আর কোন গোল না করতে পারলে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে প্রথমবার নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড।অন্যদিকে নিজেদের মাঠে প্রথমবার ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয় অজিদের।
আগামী ২০ আগস্ট সিডনির একোর্ স্টেডিয়ামে নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্পেন ও ইংল্যান্ড।