ইতিহাসটা দেখুন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এ নিয়ে রোনালদো আর সিমিওনের দেখা হলো ৬ বার। এর আগের ৫ বারই শেষ হাসিটা ছিল রোনালদোর মুখে। শেষ দুই লড়াইয়ে তো রীতিমতো হ্যাটট্রিকই করে বসেছিলেন তিনি। তবে এবার হলো না, তাতেই শেষ হাসিটা ফুটল সিমিওনের ঠোঁটে।
নিজেদের মাঠে ১-১ ড্রয়ের পর কোচ সিমিওনের অ্যাটলেটিকো আজ নেমেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের থিয়েটার অফ ড্রিমসের আতিথেয়তাটা যে মোটেও সুখকর কিছু হয়নি অ্যাটলেটিকোর, তা আর বলতে! শুরু থেকে দর্শকদের গগনবিদারী চিৎকারে কান পাতা ছিল দায়। ধারাভাষ্যকাররা বলাবলি করছিলেন, এমন কোলাহল পুরো মৌসুমেই নাকি আর শোনা যায়নি ইউনাইটেডের ডেরায়।
তবে সেসব কোলাহলকে থামিয়ে দিতে অ্যাটলেটিকো সময় নিয়েছে কেবল ৪১ মিনিট। অ্যান্টোয়ান গ্রিজমানের ক্রস থেকে মহামূল্য গোলটা সেই মিনিটেই যে করেন রেনান লোডি। এর আগে অবশ্য প্রথম আঘাতটা ইউনাইটেডই করতে পারতো। ১৩ মিনিটে অ্যান্থনি এলেঙ্গার শটটা লাগে গোলরক্ষক ইয়ান অবলাকের মুখে। তাতে হাফ ছেড়ে বাঁচে সফরকারীরা।